১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    বিপিএলের নবম আসরে সিলেটকে হারিয়ে শেষ হাসিটা হাসলো ইমরুল কায়েসের দল

    বিপিএলের নবম আসরের ফাইনাল শেষ হাসিটা হাসলো  ইমরুল কায়েসের দল।  চার বল হাতে রেখে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা।চতুর্থবারের মতো বিপিএলের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

    মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৫২ বলে ৭৯ রান করে কুমিল্লার জয়ের নায়ক জনসন চার্লস।

    ২৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৫২। রুবেলের ১ ওভারেই সব এলোমেলো হয়ে যায়। ১৭তম ওভারে চার্লস নেন ২২ রান। কুমিল্লার জন্য সহজ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত চার বল হাতে রেখে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা।

    প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সিলেট। নির্ধারিত ২০ ওভারে করে ১৭৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে কুমিল্লা। চাপ কাটিয়ে পথ দেখানন জনসন চার্লস ও লিটন দাস। লিটন ফিফটি করে ফিরলে আবারও একটু চাপ আসে কুমিল্লার ওপর এবং ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন চার্লস ।

    এর আগেরবা র বরিশালকে হারিয়ে ট্রফি ঘরে তুলেছিল বিপিএলের অন্যতম সফল এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।চার্লস ৫টি ছক্কা ও ৭টি চারে ৫২ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। সঙ্গে ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মঈন। এর আগে লিটন ৩৯ বলে ৫৫ রান করে ভিত গড়ে দেন। সিলেটের হয়ে ৩৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রুবেল। তার মধ্যে নিজের শেষ ওভারেই দেন ২২ রান।

    ফিফটির পর বেশিদূর এগোতে পারেননি লিটন দাস। রুবেল হোসেনের বলে আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। স্কয়ার লেগে শান্ত দারুণ ক্যাচ ধরেন। ৩৯ বলে ৫৫ রান করেন লিটন। ক্রিজে চার্লসের সঙ্গী মঈন আলী।

    ৩৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন লিটন দাস। জুটির ফিফটির পর লিটন নিজেও ফিফটি তুলে নেন ৩৬ বলে। জীবন পাওয়ার পর চার্লস খেলছেন দারুণ। দুজনে আর কোনো সুযোগ দেননি সিলেটকে। ১২ ওভারে কুমিল্লা দলীয় ১০০ পূর্ণ করে। লিটন ৫৪ ও চার্লস ৩২ রানে ব্যাট করছেন।

    লিন্ডের বলে স্কয়ার লেগে উড়িয়ে মেরেছিলেন জনসন চার্লস। সেখানে থাকা রুবেল হোসেন বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তালুবন্দি করতে পারেননি। এর আগের ওভারে লিন্ডে ইমরুলকে ফিরিয়েছিলেন। ক্যারিবিয়ান চার্লসের উইকেট নিতে পারলে এগিয়ে যেতো সিলেট। পাওয়ার প্লেতে কুমিল্লা ৪৯ রান তোলে ২ উইকেট হারিয়ে। লিটন ১৭ বলে ২৭ রান করেন। ১টি করে উইকেট নেন রুবেল-লিন্ডে। ক্রিজে লিটন-চার্লস।

    নিয়মিত সাত কিংবা আট নম্বরে নামা থিসারা পেরেরা আজ এসেছিলেন ছয় নম্বরে। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার। প্রথম বলেই হয়েছেন বোল্ড। জর্জ লিন্ডে ৯ রান করার পথে জীবন পেয়েছেন দুইবার, ফিরেছেন মুস্তাফিজের বলে।

    এক প্রান্তে কেউই থিতু হতে না পারলেও অন্য প্রান্ত আগলে মুশফিকুর রহিম ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন । শেষ পর্যন্ত ৭৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ। কুমিল্লার হয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

    ১ চার ১ ছয়ে চার বলে ১০ রান করে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন সুনীল নারিন। রুবেলের ওভারে নিজের পঞ্চম বলেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ক্রিজে এসে লিন্ডের করা পরের ওভারের প্রথম বলেই লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক ইমরুল।

    নাজমুল হোসেন  ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে বিপিএলের ফাইনালে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৪৮ বলে সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ওপেনিংয়ে নামা শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৬৪ রান। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দুজনে খেলার হাল ধরেন। শেষ দিকে ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় সিলেট। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১টি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল, তানভীর ইসলাম ও সুনীল নারাইন।

    দ্বিতীয় ওভারে ব্যাটিংয়ে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি। কিন্তু ক্যামিও ইনিংস খেলতে পারেননি। রাসেলের বলে ১ রানে আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। বল খেলেন ৪টি। আরেক প্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করছেন শান্ত। এখন পর্যন্ত ১৬ বলে ২৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

    ফাইনালের মঞ্চে দুর্দান্ত শুরু করে সিলেট। প্রথম ওভারে আসে ১৮ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তানভীর ইসলামের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন আসরে দারুণ ব্যাটিং করা তৌহিদ হৃদয়। প্রথম বলেই ফেরেন বোল্ড হয়ে। দ্বিতীয় ওভারেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে কুমিল্লা। হৃদয়ের আউটের পর ব্যাটিংয়ে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি।

    বিপিএল ফাইনালে ট্রফির লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি কুমিল্লা-সিলেট। টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে কুমিল্লা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলাটি শুরু হয়।

    সিলেট স্ট্রাইকার্স সদস্যরা হলেন–

    হলেন– মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত,তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম, রায়ান বার্ল, জর্জ লিন্ডে, থিসারা পেরেরা, লুক উড, রুবেল হোসেন এবং তানজিম হাসান সাকিব।

    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান এ সদস্যরা হলেন: ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম, মঈন আলী, সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল ও জনসন চার্লস।

    মাহফুজা ১৬-২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর