১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    বহিঃশক্তির যে কোনো আক্রমণ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী

    দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বহিরাগত শক্তির যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। আমরা ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী।

    বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে ‘ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট’ এর ‘দশম টাইগার্স পুনর্মিলনী’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

    বহিঃশক্তির যে কোনো আক্রমণ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীকে পর্যাপ্ত সক্ষম করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশে রূপান্তরিত করতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। সশস্ত্র বাহিনী সবসময় দেশ ও জনগণের পাশে আছে। শুধু দেশে নয় বিদেশের মাটিতেও।

    শেখ হাসিনা বলেন, যখনই বন্ধুপ্রতিম কোনো দেশে দুর্ঘটনা ঘটে তখনই সশস্ত্র বাহিনী সেখানে যায় এবং উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে সেবা দিয়ে থাকে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনী শান্তিরক্ষী বাহিনী গৌরবজনকভাবে দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।

    তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার কাজে সফলভাবে অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান  সবাইকে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার শহীদ দুই ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাই ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের পুনর্মিলনীতে যোগ দেওয়া একদিকে আমার জন্য বেদনাদায়ক, অন্যদিকে আনন্দের’।

    অনুষ্ঠানে রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করে খোলা জিপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তার সঙ্গে ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও দেখেন।

    ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান গতকাল চট্টগ্রাম সেনানিবাসে শুরু হয় এবংএর  উদ্বোধন করেন  সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ।

    একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গৌরবময় অতীতের মত সবসময় প্রস্তুত থাকতে সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান সেনাপ্রধান।

    মাহফুজা ১৬-২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর