৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ; জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৫ জন

    এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়  মোট পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ  এবং      ছাত্রীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

    এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।

    বুধবার সকাল  সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

    করোনার কারণে বিলম্বিত হওয়া ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। সে হিসাবে ২০২২ সালের পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।

    এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১২ হাজার ৮৮৭।

    ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭২ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯১ জন শিক্ষার্থী। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭১ জন। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮৬ জন শিক্ষার্থী।

    চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন শিক্ষার্থী। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭০৩ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ জন শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮ জন।

    নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৫ জন।

    কারিগরি বোর্ডে পাস করেছেন ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১০৪ জন শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থী।

    এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ৫০টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে।

    ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ১৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এরমধ্যে ১ হাজার ৩৩০ টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করলেও ৫০টি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।

    এর মধ্যে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে সবচেয়ে বেশি ফেল করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩টি। এছাড়া রাজশাহীতে ৯টি, ঢাকায় ৮টি, যশোরে ৬টি, কুমিল্লায় ৫টি এবং ময়মনসিংহে ৩টি প্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল করেছেন। এছাড়া ৪টি মাদরাসা ও ২টি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছেন।

    ২০২২ সালের ৬ নভেম্বরে শুরু হয়েছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্র ও ৯ হাজার ১৮১টি প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। ১৩ ডিসেম্বর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ও ২২ ডিসেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়।

    মাহফুজা ৮-২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর