বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলাটি তথ্যগত ভুলে করা হয়েছে দাবি মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার । মামলার তদন্ত সংস্থাটি মনে করে ফারদিন হত্যায় কেউই জড়িত নন। শিগগির আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
তবে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন, তা মানতে নারাজ তার বাবা। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলে তার ওপর নারাজি দেবেন তিনি।
গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এটি একটি আত্মহত্যা। আমরা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখেছি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার পরশ হত্যা মামলাটি তথ্যগত ভুলে করা হয়েছে। এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছেএবং শিগগির আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো।’
ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান তদন্ত সংস্থা যেসব কথা বলছে তা আষাঢ়ে গল্প। বুশরা আমার ছেলেকে হত্যা করেননি। তিনি হত্যার ইন্ধনদাতা। বুশরা পরিকল্পনা করেছেন আমার ছেলেকে হত্যা করার। বুশরা একজন নারী। বুশরাকে রাত ১০টায় আমার ছেলে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্ত সংস্থা ফারদিন হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে আমি তার বিরুদ্ধে নারাজি দেবো।’
বুশরার আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, ‘বুশরা ফারদিনের একজন ভালো বন্ধু ছিলেন। তিনি কোনোভাবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। তদন্ত সংস্থা এরই মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। বুশরা মেধাবী ছাত্রী। তিনি নির্দোষ।’
গেল বছরের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। ময়নাতদন্ত দলের সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ ৮ নভেম্বর জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা। ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার তার জামিন দেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে।
মাহফুজা ৪-২