৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    এবার বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায়ে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে

    বিএনপি বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের পর এবার ইউনিয়ন পর্যায়ে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে । এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।যুগপৎ আন্দোলনের ৬ষ্ঠ কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে পালিত হবে এ কর্মসূচি, জানান তিনি।

    শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সন্ত্রাস’, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের প্রতি দমন-নিপীড়ন-নির্যাতন, গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

    বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, যার সবশেষে উদাহরণ ৪ জেলায় ৬টি আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের চিত্রই বলে দেয়।’

    ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে লংমার্চের মাধ্যমে পরাজিত করা হবে এ সরকারকে।

    নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আনন্দের কথা, আজকে অনেক রাজনৈতিক দল এগিয়ে এসেছে। তারা যুগপৎ আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন জনগণের অধিকার রক্ষার আন্দোলন। আন্দোলন চলবে সেই পর্যন্ত, যে পর্যন্ত না এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটছে

    সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা করা হবে। তবে, ঢাকায় কখন পদযাত্রা হবে, সেটা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

    তিনি বলেন, এবার বিএনপির কর্মসূচি হবে ইউনিয়ন পর্যায়ে। ক্রমান্বয়ে উপজেলা, জেলা, মহানগর, সর্বশেষ কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কর্মসূচি দেওয়া হবে। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ এই সরকারের ক্ষমতার মসনদ দখল করে নেবে জনগণ।

    মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের সমাবেশে উপস্থিতির মাধ্যমে আপনারা আবারও প্রমাণ করেছেন, সবাই এখন একটি দাবিতেই আন্দোলন করছে, সেটা হলো এই সরকারের পদত্যাগ।

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, লুটের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগ। এ সরকার সবকিছু লুটে খেয়ে ফেলেছে। বড় বড় প্রকল্পের নামে বিদেশ থেকে ঋণ করে টাকা এনে সে টাকা নিজেদের পকেটে ভরছে।

    মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত এই সরকার বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতেও গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা হিরো আলমকেও ভয় পায়। আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির বহিস্কৃত সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তারকে জেতানোর জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফকে ভয় দেখিয়ে লুকিয়ে পড়তে বাধ্য করে।

    বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসতে থাকেন। ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে যোগ দেন এ সমাবেশে। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভিড় দেখা গেছে। দুপুর ২টায় শুরু হয় যুগপৎ আন্দোলনের এ পঞ্চম কর্মসূচি।

    তবে এদিন সমাবেশে বসার জায়গা নিয়েও নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে, কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

    যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী পালিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগর বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শিমুল বিশ্বাস ।

    মাহফুজা ৪-২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর