১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছে-প্রধানমন্ত্রী

    আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে কাজ করে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন , বিএনপি-জামায়াত জোট বলছে- আওয়ামী লীগ পালানোর সুযোগ পাবে না। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছে।

    রোববার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, জিয়া, খালেদা জিয়া কেউ এদেশের মানুষের খাদ্যের কথা চিন্তা করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে।

    সরকারপ্রধান বলেন, আজকে বিরোধী দল অনেক কথা বলে। আবার বলে আমরা নাকি পালানোর পথ পাবো না। আওয়ামী লীগ কখনও পালায় না, পিছু হটে না। জিয়াউর রহমান আমাকে বাধা দিয়েছিল দেশে আসতে। আমি বাধা অতিক্রম করে দেশে ফিরেছিলাম। ২০০৭ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে, তখনও আমি বিদেশে গিয়েছিলাম, আমার ছেলের বউ অসুস্থ ছিল, তার বাচ্চা হয়েছিল, তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। আমাকে দেশে ফিরতে দেবে না। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস দেওয়া হয়েছিল। আমি বলেছিলাম যাব, এই কেস মোকাবিলা করব। দেশে ফিরে এসেছি শুধুমাত্র বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আজ যারা বলে আওয়ামী লীগ পালানোর সুযোগ পাবে না, আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আওয়ামী লীগ পালায় না, পালায় আপনাদের নেতারাই। বিএনপির নেতারা কে? তারা নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কাকে নিয়ে? দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান?।

    তিনি বলেন, বিএনপি নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। অথচ তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা-তারেক। তাই তাদের মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। বিএনপির পাচার করা ৪০ কোটি টাকা আমরা দেশে নিয়ে এসেছি।

    এসময় বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। তিনি জনসমাবেশে আগতদের উদ্দেশে বলেন, এসব আপনাদের উপহার হিসেবে দেওয়া হলো।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। আপনারা বিএনপি-জামায়াত শাসনের কথা চিন্তা করুন। সে সময় তারা নিয়মিত জনগণের ওপর অত্যাচার করত।  জিয়া, খালেদা জিয়া কেউ এদেশের মানুষের খাদ্যের কথা চিন্তা করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে।

    তিনি বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানানো হয়। আমি আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি এমন একটি দেশে ফিরে আসি, যেখানে আমার কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। জাতির পিতার খুনিদেরকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। সে অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তারপর চেষ্টা করেছি, বাংলাদেশকে উন্নত করতে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়নি। চিন্তাও করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে।

    তিনি আরো বলেন, এই রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা করে দেন। এরপর সব বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ বন্ধ কারখানা চালু করতে কাজ করে। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাঁধ করে দিয়ে সেই ভাঙন আমরা রোধ করে দেই। এই রাজশাহীর মানুষের কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নেই। এরইমধ্যে রাজশাহীর মানুষের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।

    এর আগে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে নগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় মঞ্চ থেকে স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।

    রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ।

    এর আগে দুপুর ১২টায় জনসভা শুরু হয়। সকাল ৯টা থেকে মাঠে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

    মাহফুজা ২৯-১

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর