ভোলা নর্থ-২ এ গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। সোমবার সন্ধ্যায় ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশায় ভোলা নর্থ-২ এর নতুন কূপ খনন শেষে পরীক্ষামূলকভাবে আগুন প্রজ্বলন করা হয়েছে।
এ তথ্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী নিশ্চিত করেছেন।
বাপেক্সের মালিকানাধীন এই গ্যাসক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় কূপ এবং জেলায় অষ্টম কূপ। এর আগে ২০১৮ সালে ভোলা নর্থ-১ কূপে গ্যাস পাওয়া যায়।
মো. আলী বলেন, তিন হাজার ৫২৮ মিটার গভীরে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে আগুন প্রজ্বলন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এ কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে। আগামী ৭২ ঘণ্টার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এ কূপে কী পরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার কূপের ডিএসটি সম্পন্ন হওয়ার পর গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। চূড়ান্ত প্রোডাকশন টেস্টিং শেষে এ কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন হার নির্ণয় করা হবে। তবে সম্ভাব্য ২০ এমএমএসসিএফডি হারে গ্যাস উৎপাদনের বিষয়ে আশাবাদী বাপেক্স।
ভোলা নর্থ-২ কূপ খনন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রম ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর ভোলা নর্থ-২ এর কূপ খনন কার্যক্রম শুরু হয়। তিন হাজার ৪২৮ মিটার গভীরতায় সফলভাবে কূপ খনন কার্যক্রম শেষ হয় ১৭ জানুয়ারি। সোমবার এ কূপে গ্যাস পাওয়া যায়। চূড়ান্ত প্রোডাকশন টেস্টিং শেষে এ কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন হার নির্ণয় করা হবে।
নসরুল হামিদ বাপেক্সকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিকল্পনা অনুসারে চালাতে হবে। ২০২২-২৫ সময়কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ব্রুনেইসহ গ্যাস ও তেল উৎপাদনকারী দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি চুক্তির প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
মাহফুজা ২৩-১