আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মোখলেছুর রহমান, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির, নাকিব হোসেন আদিল সরকার ও সাইদুর রহমান রতন। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন। এর আগে, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখেন।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ এবং তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
এর আগে এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ঠিক করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করা হলো।
ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জানান, এ মামলায় মোট নয়জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। কারাগারে থাকা দুজন ও পলাতক একজনসহ মোট তিনজন মারা গেছেন। আর বাকি ছয়জন পলাতক।
১৯৭১ সালের জুন-জুলাইয়ে ত্রিশালের আহমেদাবাদে একটি বিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে শান্তি ও রাজাকার বাহিনী। ওই সময় কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপার করতেন। এ কারণে ইউনুছ আলীকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান ২০-২৫ জন। নির্যাতনের পর ৭১ সালের ১৫ আগস্ট সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওই রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকায় লুটপাট ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করে।
এসব অভিযোগে পরে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ফরমাল চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে মামলাটি করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন। পরে ওইদিনই দুপুরে বিচারক আবেদা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।
মাহফুজা ২৩-১