শরীয়তপুরের জাজিরায় ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ছয়জন । মঙ্গলবার ভোর ৪টায় জাজিরার নাওডোবা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পদ্মা দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক সুরুজ মিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- অ্যাম্বুলেন্সচালক জিলানি , হেলপার রবিউল ইসলাম , রোগী জাহানারা বেগম , তার মেয়ে লুৎফুন নাহার, স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বি এবং সাংবাদিক মাসুদ রানা । মাসুদ রানা দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো চিফ।নিহত রবিউল ইসলামের বাড়ি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তালতলার খিলগাঁও এলাকায়।
অ্যাম্বুলেন্সটি বরিশাল থেকে রোগী ও স্বজনদের নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে জাজিরায় পদ্মা সেতু টোলপ্লাজার কাছে গতিনিরোধক পার হতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সটি একটি ট্রাকের পেছনে ঢুকে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের ছয় যাত্রী নিহত হন।
পুলিশের ধারণা, অ্যাম্বুলেন্সের চালক ঘুমিয়ে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ট্রাকচালক পালিয়ে যান।
জাজিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার এনামুল হক বলেন, ‘আমরা খবর পাই পদ্মাসেতু এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার গাড়ি নিরাপদ স্থানে নিই। মরদেহগুলো উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।’
শিবচর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার ২০০ থেকে ৩০০ মিটার সামনে ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।অ্যাম্বুলেন্সের চালক রবিউল টানা ২৬ ঘণ্টা ডিউটিতে ছিলেন। এ কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন এবং সম্ভবত গাড়ি চালাতে চালাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ কারণে চলন্ত ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটি ট্রাকের নিচে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই চালকসহ গাড়িতে থাকা ছয়জন প্রাণ হারান।’
হাইওয়ে পুলিশের ফরিদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।সকাল সাড়ে ১০টায় অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউলের মরদেহ তাঁর স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের স্বজনেরা এলে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
মাহফুজা ১৭-১