৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কারাদন্ডের আদেশ

    দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় বিতর্কিত বক্তা মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিনে ট্রাইব্যুনালে দোষ স্বীকার করেন মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

    সোমবার  ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম জুলফিকার হায়াতের আদালতে তিনি দোষ স্বীকার করেন। অভিযোগ গঠনে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় আদালত গ্রেপ্তারের পর থেকে এ পর্যন্ত কারাভোগকে সাজা হিসেবে প্রদান করেন। সে হিসেবে তিনি এ মামলায় এক বছর তিন মাস ১৯ দিনের সাজা ভোগ করলেন।

    সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,  মুফতি কাজী ইব্রাহিম আদালতে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং  আদালত তার গ্রেপ্তারের পর থেকে এ পর্যন্ত যত দিন কারাভোগ করেছেন, তা সাজা হিসেবে আদেশ দেন।’

    উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছিল।

    মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, কাজী ইব্রাহিম তার বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও খুতবা দেওয়ার সময় মিথ্যা উস্কানিমূলক ও ভয়-ভীতি সম্বলিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করেন। প্রচারিত ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে উস্কানিমূলক ভিডিওগুলোতে প্রচারিত বক্তব্য তার নিজের বলে স্বীকার করেন।

    বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, আক্রমণাত্মক ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বিভিন্ন ভিডিও প্রচার ও প্রকাশ করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/৩১/৩৫ ধারায় অপরাধ করেছেন।

    ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। আটক করতে গেলে ফেসবুক লাইভে এসে হিন্দুস্থানি দালাল ও র-এর এজেন্ট তার বাসা ঘিরে রেখেছে বলে মন্তব্য করেন।

    বিভিন্ন উগ্রবাদী বক্তব্য, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মুন্সি আব্দুল লোকমান বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে একই বছরের ২ অক্টোবর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাসানুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

    মাহফুজা ১৬-১

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর