ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মনজুরুল ইসলাম নামে আরো একজন মারা গেলেন । এনিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়ালো।
বুধবার সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনজুরুলের মৃত্যু হয় এবং তার শরীরের ৩৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া নিশ্চিত করেছেন।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, মারা যাওয়া মনজুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ দগ্ধ ছিল।তিনি আরও জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হোসনার অবস্থাও গুরুতর এবং তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ শতাংশ দগ্ধ শিশু মরিয়মের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ৭০ শতাংশ দগ্ধ গৃহবধূ জোসনা বেগম ও ৭৫ শতাংশ দগ্ধ সাদিয়া আক্তার মারা যান।
নিহতের ভাই সাদ্দাম বলেন, এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আমাদের পরিবারটাকে এলোমেলো করে দিল। আজ আমার ভাইও চলে গেল। এর আগে আমার ভাবি মারা যায়। আমার ভাতিজিও মারা গেছে। ভাইয়ের শালিকাও মারা গেছে।
নিহত মনজুরুলের শ্যালক সাদ্দাম জানান, মনজুরুলের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের কৃষ্ণনগর গ্রামে। কর্মসূত্রে ঢাকার ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন তিনি।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কুমড়াইল কবরস্থান সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচ তলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জন দগ্ধ হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাহফুজা ১১-১