২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ; এই সপ্তাহে শীত কমতে পারে

    কয়েক দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর রোববার  থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে কমে আসছে কুয়াশা।  আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই সপ্তাহে শীত কমে আসবে। মঙ্গলবার থেকে দেশে দিনের বেলায় আকাশ কুয়াশামুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

    সোমবার  সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এটাই চলতি বছরের সবচেয়ে কম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল যা ছিল ১২ দশমিক ৩।

    রোববার টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যদিও ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রিতে নেমেছিল।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম জানান, পুরো জানুয়ারি মাসই শীত থাকবে। তবে বিগত কয়েক দিনের মতো এত শীত অনুভূত হবে কি না, সেটা নির্ভর করছে কুয়াশার ওপর। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশে গত কয়েক দিন যেভাবে শীত অনুভূত হয়েছে, সেটা এক সপ্তাহের বেশি নয়। তাই মাসজুড়ে একই রকম শীত থাকবে না। আজ ও আগামীকাল দুপুরের দিকে সূর্যের আলো দেখা দেবে। তাই দিন ও রাতের তাপমাত্রা এই দুই দিন সামান্য বাড়তে পারে।

    রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী সাত দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সপ্তাহের শেষের দিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের দু-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।এ সময়ে মধ্যরাত থেকে সকাল ও দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা বিরাজ করতে পারে। কোথাও কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

    শৈতপ্রবাহ চলছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। বিরাজ করছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। কনকনে শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

    সোমবার সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সকাল ৬ টার দিকে রেকর্ড হয়েছিলো ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, উত্তরদিক থেকে হিমালেয়ের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। সামনে আরো কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহ থাকবে বলে জানান তিনি।

    রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবীরা সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীতের দাপট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।

    অন্যদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।

    মাহফুজা ৯-১

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর