১৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১লা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ

    নাশকতার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাদের জামিন বিষয়ে জারি করা রুল হাইকোর্টকে ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

    পাশাপাশি চেম্বার জজ আদালত মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিননামা দাখিলে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন তা প্রত্যাহার করেছেন আপিল বিভাগ। রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন ।

    রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

    আপিল বিভাগের আদেশের পর বিএনপির এ দুই নেতার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, ফখরুল ও আব্বাসের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তাদের কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

    ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত।

    ৪ জানুয়ারি সকালে তাদের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে রোববার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে ওইদিন পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া জামিননামা (বেইল বন্ড) দাখিল না করার নির্দেশ দেন চেম্বার আদালত।

    এর আগে মোট চারবার ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। পরে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা।

    গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের।

    ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে আনে ডিবি পুলিশ। (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। ৯ ডিসেম্বর বিকেলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    মাহফুজা ৮-১

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর