মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ইভিএমের নতুন প্রকল্প পাস না হলে ব্যালটে যেতে হবে এবং সেজন্য জাতীয় নির্বাচন ব্যালট পেপারে করার প্রস্তুতি নিতে হবে বলে জানালেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।
রোববার রাজধানীর নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নতুন প্রকল্প পাস না হলে ১৫০ আসনে এ যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। এক্ষেত্রে আমাদের ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, ইভিএম প্রকল্প খুব একটা এগোচ্ছে বলে মনে হয় না। প্রকল্পের অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করবো বলে আমরা বলেছিলাম। এক্ষেত্রে প্রকল্প পাস না হলে আমাদের কাছে বর্তমানে যা আছে তাই দিয়েই ভোট করবো। মধ্য জানুয়ারির মধ্যে নতুন প্রকল্প পাস না হলে ব্যালটে যেতে হবে। সেই প্রস্তুতিও নিতে হবে। সময় মতো হলে তো ভালো না হলে যা আছে তা নিয়েই করবো।
তিনি বলেন, এসব নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা হয়নি এবং এটার রীতিও নেই। ইসি সচিবালয় হয়তো কথা বলবে। আমাদের সক্ষমতা যা আছে তাই করবো। আমাদের সক্ষমতা তো জানা মতে ৭০-৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার মতো আছে।
১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকারের কাছে আট হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রস্তাব এখনো পাস হয়নি।আর্থিক সংকটের এই সময়ে এখনও অনুমোদন পায়নি প্রকল্পটি। বরং ব্যয় কমিয়ে সংশোধনের করতে বলেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রকল্প ব্যয়ে বড় আকার কাটছাঁট করা হলে নতুন দুই লাখ ইভিএম কেনা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনের ভোট গ্রহণে এই যন্ত্রের ব্যবহার করতে চায় ইসি।
ইভিএম সরবরাহ করে সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ।
মাহফুজা ৮-১