২০২২ সালে সারা দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৮১ জন। দেশের ইতিহাসের যা ছিল সর্বোচ্চ । বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে মারা যান ২৭ জন। এক বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ২৮১ জনের মধ্যে ১৭৩ জন ঢাকার বাসিন্দা। মারা যাওয়া বাকি ১০৮ জন ছিলেন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৯ জনের। এরপর খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ১২ জন করে।
১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। যার মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৯ হাজার ২২০ জন ও ঢাকার বাইরের ২৩ হাজার ১৬২ জন।
এদের মধ্যে সুস্থ হন ৬১ হাজার ৭৬৩ জন। যাদের মধ্যে ৩৮ হাজার ৮৮৬ জন এবং বাকি ২২ হাজার ৮৭৭ জন বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
২০২২ সালের জুন মাসে বছরের প্রথম ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জুন মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৭৩৭ জন। এরপর বাড়তে থাকে সংক্রমণ। জুলাই মাসে এক হাজার ৫৭১ জন, আগস্টে ৩ হাজার ৫২১, সেপ্টেম্বরে ৯ হাজার ৯১১, অক্টোবরে ২১ হাজার ৯৩২, নভেম্বরে ১৯ হাজার ৩৩৪ ও ডিসেম্বরে ৫ হাজার ২৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে বছরের প্রথম মৃত্যু হয় জুলাই মাসে। জুলাইয়ে মারা যান ৯ জন। এরপর আগস্টে ১১, সেপ্টেম্বরে ৩৪, অক্টোবরে ৮৬, নভেম্বরে ১১৩ ও ডিসেম্বরে ২৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এর আগে, ২০১৯ সালে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল ১৭৯ জন।
মাহফুজা ১-১-২০২৩