১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    আগামীকাল পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

    আগামীকাল ১ জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের মতো পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে একমাসের  ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা । মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এ

    বারের বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া ও ভারত থেকে অনেক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে।

    শনিবার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

    মন্ত্রী বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। লাভের উদ্দেশ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয় না। গতবছরও এ মেলায় ২০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানির স্পট আদেশ পাওয়া গেছে।

    তিনি বলেন, স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টার একটু দূরে হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ মেলার মাধ্যমে আমরা আমাদের তৈরী পণ্য দেশি-বিদেশি সবার কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাই। ক্রেতারাও দেশি-বিদেশি পণ্যের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ পান। এতে পণ্যের মানও উন্নত হয়। বাংলাদেশের তৈরী পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মূল উদ্দেশ্য।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের পণ্যের মান উন্নত এবং মূল্য কম হওয়ার কারণে প্রতি বছর আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। গত বছরও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে। আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরী পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি আমাদের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় পণ্য। অল্প দিনের মধ্যে এ খাতে রপ্তানি ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে আশা করছি। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে বিশ্ববাজারে। সবমিলিয়ে আমাদের রপ্তানি বাড়ছে।

    ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর মেলায় অভিযান পরিচালনা করবে। মেলায় যাতায়াতকালে যাতে নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

    মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে বাস আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মেলা চলাকালীন বাসগুলো চলাচল করবে।

    মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে, সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। এবারে মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় ১ হাজারটি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল আছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি হলের বাইরে মিলে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন আছে।

    প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিমসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    করোনায় ২০২০ ও ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এর পরের বছর অর্থাৎ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি মেলা আয়োজন করা হয়।

    ১৯৯৫ সাল থেকে দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে ২০২২ সালে প্রথম স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

    মাহফুজা ৩১-১২

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর