তোলপাড় সৃষ্টি করা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহিদুর রহমান ।
এডিসি বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এটি একটি আত্মহত্যা। আমরা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখেছি।
বুধবার বিকেলে ডিবি প্রধান বলেন, এ ঘটনায় আমরা ফারদিনের নিকট-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পারিপার্শ্বিক নানা বিষয় বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছি পরশকে কেউ খুন করেনি; তিনি মূলত আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, তা তিনি পরিষ্কার করেননি।
ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনাটি কেন আত্মহত্যা মনে হচ্ছে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, বিভিন্ন আলামত পর্যবেক্ষণ করে এমনটা মনে হচ্ছে।
এদিকে ফারদিন হত্যা নিয়ে বুধবার রাত আটটার দিকে ব্রিফিং ডেকেছে র্যাব। ব্রিফিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো হবে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে এক ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ নিহতের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অগ্রগতি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন এর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা হয়।
ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলাটি সুষ্ঠু ও দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।
মাহফুজা ১৪-১১