পল্টন থানায় করা মামলায় ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের ফের জামিন আবেদন করেছেন তাদের আইনজীবীরা। আদালত জামিন শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
বুধবার এ আবেদন করা হয় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে ।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোমবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস ছালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি,. ফজলুল হক , যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও সেলিম রেজা ।
রোববার তাদের আইনজীবী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিমের আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওইদিনই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখায় ডিবি।
৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এবং আহত হন অনেকে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে।
মাহফুজা ১৪-১১