বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে মঙ্গলবার নয়াপল্টনে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি। একই সঙ্গে সারা দেশে গণমিছিল করবে বলেও জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।
সোমবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনার পর রোববার কেন্দ্রীয় কার্যালয় বুঝিয়ে দিলেও আজই প্রথম নয়াপল্টনের কার্যালয়ে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ১০ তারিখে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের লক্ষ্য ছিল মানুষের সামনে বর্তমান সরকারের চরিত্র তুলে ধরা। কীভাবে তারা দলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশ দিয়ে বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছে, সেটা সারা দেশের মানুষ দেখেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারের নির্দেশে তাদের দলের কর্মীরা ১০ তারিখ ঘিরে এমন কোনো অপকর্ম নাই যা করেনি। সরকার আতঙ্ক তৈরি করলেও বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে দেখিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী নজিরবিহীন বর্বরতা চালিয়েছে বিএনপি কার্যালয়ে। ফাইলপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, অর্থ লুটসহ সব অঙ্গ সংগঠনের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। সব কক্ষের দরজা ভাঙচুর করেছে। জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পর্যন্ত ভেঙে ফেলেছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ৭ তারিখে পুলিশ যেভাবে হামলা চালিয়েছে তা নজিরবিহীন। নিন্দা জানাবার ভাষা নেই। তারা দলীয় কার্যালয় থেকে সিনিয়র নেতাসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এসব গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যই ছিল ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ পণ্ড করা। অথচ আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ও সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে আর ক্ষমতায় চায় না। আমরা গণসমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি দিয়েছি। নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি ও কেন্দ্রীয় অফিসে ভাঙচুর এবং লুটের অভিযোগে ১৩ ডিসেম্বর নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি।
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, কার্যালয়ে আসতে পেরেছি, কী কী খোয়া গেছে, তার তালিকা করছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো কী করবো।
মাহফুজা ১২-১২