আর্জেন্টিনার ও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেছে ফিফা। ফুটবলের বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা আর্জেন্টাইন এফএ-র বিরুদ্ধে ম্যাচের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ভঙ্গের অভিযোগ আরোপ করেছে। তাই উভয় দলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে! দোষী সাব্যস্ত হলে দুই দলেরই ১৬ হাজার ডলার জরিমানা হতে পারে।
কোয়ার্টার ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয় ছাপিয়ে আলোচনায় রেফারি আন্তোনিও মিগেল। পুরো ম্যাচে ১৮জনকে তিনি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। যার মাঝে আছেন লিওনেল মেসিও। ম্যাচের মাঝপথে এবং শেষে ডাচ ফুটবলার এবং আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা বারবার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে দুই দলের ফুটবলাররা বার বার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। রেফারি একের পর এক হলুদ কার্ড দেখানোর কারণে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একসময় আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের সদস্যরা বিরোধে জড়ান। আর্জেন্টিনার মার্কোস আকুনা একটি ফাউল মানতে না পেরে সপাটে নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে শট মারেন। তার পরেই দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।
মেসি নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফান হালের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেন। পেনাল্টি বাঁচিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পর গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস ডাচ কোচকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। ম্যাচে ৮ জন আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে।
সাধারণত কোনো দল পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখলে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত করে ফিফা। এ কারণেই আর্জেন্টিনার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হবে।
দুই ফেডারেশনকে ১৫ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হতে পারে। এর আগে আচরণবিধি ভাঙার দায়ে এ বিশ্বকাপে সৌদি আরবকে দুইবার এই শাস্তি দেয় ফিফার ডিসিপ্লিনারি প্যানেল।
এই অভিযোগের রায় কবে হবে জানায়নি ফিফা। সাধারণত অভিযুক্ত দলের পরের ম্যাচের আগেই সেটা জানানো হয়।
মাহফুজা ১১-১২