খোলা মাঠ ছাড়া রাস্তাঘাটে কোনও সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানালেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) খন্দকার গোলাম ফারুক । আমরা বিএনপিকে সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছি। আশা করছি, সেখানেই তারা সমাবেশ করবে বলে জানান তিনি
সোমবার গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রাস্তাঘাটে সমাবেশের অনুমতি দিলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে যাবে। যান চলাচলই নয়, সাধারণ জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়ও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। মূলত এ কারণেই এসব স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া যায় না। সার্বিক দিক বিবেচনা করেই বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া অন্য কোনো স্থানের নাম প্রস্তাব বিএনপি এখনো করেনি বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপিকে অনুরোধ করেছি, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার জন্য। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যত ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা করার দরকার সব পদক্ষেপ আমরা নেব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ নয়াপল্টনেই করার সিদ্ধান্ত রয়েছে । তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে পুলিশের তল্লাশি চৌকি, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি, আমার বাসা ঘেরাও সবই একইসূত্রে গাঁথা। বাসা ঘেরাও করে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ দমানো যাবে না। সমাবেশ বানচাল করতে ভয় পেয়ে সরকার এসব করছে।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, প্রশাসন চাইলে পছন্দের জায়গার বিকল্প নাম দেবে বিএনপি। রোববার বিকেলে এ বিষয়ে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি নয়াপল্টনে সমাবেশ করবো এবং এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়ে চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে আজ আলোচনা করতে এসেছিলাম।বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে আলোচনা করে এ বিষয়ে ঠিক করতে বলা হয়েছে। ভেন্যুর বিষয়ে আলোচনা তারা করবেন। আগামীকাল থেকে এ আলোচনা চলতে পারে। এরপরই ভেন্যু চূড়ান্ত হবে।
মাহফুজা ৫-১২