৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    নবীন সেনা কর্মকর্তাদের সুযোগ্য নেতৃত্ব, সার্বিক দিক-নির্দেশনা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে দেশের সেবা করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    সুযোগ্য নেতৃত্ব, সার্বিক দিক-নির্দেশনা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে দেশের সেবা এবং দেশপ্রেমের মন্ত্রে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই জীবনের প্রধান ব্রত হতে হবে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রোববার  চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ‘৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্স’-এর কমিশন প্রাপ্ত নবীন সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২২’ পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

    সকাল সাড়ে ১০টায় সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে দুপুরে পলোগ্রাউন্ড পাঠে জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী এবং সেখানে  তিনি ভাষণ দেবেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধের জন্য নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এবং  বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী। শক্তিশালী ও পেশাদার সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে সর্বাধুনিক ও সময়োপযোগী যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করছে সরকার।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন,  দীর্ঘ প্রশিক্ষণের পর কাঙ্ক্ষিত কমিশনপ্রাপ্তির মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। আজ এই শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার যে পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত হলো, তা যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’

    বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেছিলেন ‘আমি তোমাদের জাতির পিতা হিসেবে আদেশ দিচ্ছি, তোমরা সৎ পথে থেকো, মাতৃভূমিকে ভালোবেসো। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবা, গুরুজনকে মেনো, শৃঙ্খলা রেখো, তা হলে জীবনে মানুষ হতে পারবা। ’ আমি আশা করি, নতুন ক্যাডেটরা এই কথা মনে রেখে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।”

    বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনা সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘দুর্যোগ, দুর্বিপাক সব ক্ষেত্রেই আমাদের সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করে।  তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের আজকের নবীন অফিসাররা হবেন ২০৪১-এর সৈনিক। তারা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবেন। লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যাবেন, সেটিই আমরা চাই।’

    এদিকে জনসভা উপলক্ষে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নগরের অলিগলি রাজপথ ছেয়ে গেছে পোস্টার, ব্যানার ও তোরণে। সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে জনসভা ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

    চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সফরে ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এজন্য জনসভার মঞ্চের পাশে ভিত্তিফলকগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

    মাহফূজা ৪-১২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর