ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রাইভেটকারের চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে রুবিনা আক্তারের মারা যাওয়ার মামলায় আদালত ৯ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ।
শনিবার মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ মামলার এজাহার গ্রহণ করেন। নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর মো. জাফরকে মামলাটি তদন্ত করে ৯ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে, প্রাইভেটকারের চালক ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক আজহার জাফর শাহ জনগণের পিটুনিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামি আজহার জাফর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। ২০১৮ সালে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, মামলায় ঢাবির চাকরিচ্যুত শিক্ষক আজহার শাহকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে এবং তাকে মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও দেখানো হয়। ওসি বলেন, আজহার মাদকাসক্ত ছিলেন কিনা তা এখনই বলা যাবেনা এবং ডাক্তারি পরীক্ষার পর বলা যাবে।
শুক্রবার বিকেলে দেবর নুরুল আমিনের সঙ্গে রুবিনা আক্তার মোটরসাইকেলে করে তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে হাজারীবাগে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিপরীতে টিএসসি অভিমুখী সড়কে একটি প্রাইভেটকার পেছন থেকে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে নুরুল আমিন মোটরসাইকেলসহ একপাশে ছিটকে পড়েন। এ সময় গাড়ির বাম্পারে রুবিনার পোশাক আটকে যায়। চালক গাড়ির নিচে আটকে যাওয়া রুবিনাকে নিয়ে বেপরোয়া গতিতে টিএসসি হয়ে নীলক্ষেতের দিকে যান। নীলক্ষেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তোরণের কাছে গাড়িটি আটকে রুবিনাকে জীবিত উদ্ধার করেন পথচারীরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।
শুক্রবার গভীর রাতে রুবিনা আক্তারের ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন।
মাহফুজা ৩-১২