রাজ-পরীকে দেখে সহজেই অনুমান করা যায় কতটা সুখী এই তারকা দম্পতি। গেল বুধবার দিবাগত রাতে পরীমনির এক স্ট্যাটাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তেই সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই পরী-ভক্তদের প্রশ্ন- কেন এই অশান্তি?
বিষয়টি জানতে চাইলে পরীমনি কথা বলেননি এবং বোঝা যাচ্ছিল তার মন ভালো নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্বস্ত সূত্র জানান, ৯ নভেম্বর রাতে গুলশানে কফি খেতে আসেন পরীমনি ও শরীফুল রাজ। দুজনের চিরচেনা খুঁনসুটিতে সময় জমে ওঠে। এক পর্যায়ে বিদ্যা সিনহা মিমের জন্মদিনের প্রসঙ্গ চলে আসে এবং এরপরেই মুড পাল্টে যায় পরীমনির। হয়তো তিনি ব্যক্তিগত ওই সময়ে মিমের প্রসঙ্গ আলোচনায় আসুক তা চাননি।
এর আগে ‘দামাল’ সিনেমার প্রচারে গিয়ে রাজ মিমের হাত ধরা নিয়ে পরীমনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তখন অনেকেই মনে করেছিলেন ‘দামাল’ সিনেমার প্রচারণার জন্য তিনি এটি করছেন। কিন্তু সেই স্ট্যাটাসে যে পরী কিছূ ইঙ্গিত করছেন ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তার ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
বিদ্যা সিনহা এ দিকে পরীমনি-রাজের সন্তান রাজ্যকে দেখতে বাসায় গিয়েছিলেন । তাদের হাস্যজ্জ্বল ছবি দেখে মনে হয়েছে এই দম্পতির সঙ্গে মিমের সর্ম্পক সহকর্মীর ঊর্ধ্বে। কিন্তু মনে হচ্ছে সেই সম্পর্ক এখন লোক দেখানো । পরী যে অভিযোগ এনেছেন অন্তত তাতে এটি পরিষ্কার।
এদিকে ,ঢাকাই সিনেমার দুই জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি এবং বিদ্যা সিনহা মিমের স্নায়ুযুদ্ধ এখন দিবালোকের মত পরিষ্কার। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তারা পরস্পরের প্রতি অভিযোগ তুলছেন। রাজকে নিয়ে মিমের সঙ্গে পরীমনির সম্পর্কের এই টানাপোড়েন চলছে। পরীমনির অভিযোগ রাজ-মিমের ‘অতি মাখামাখি’ তার সংসারের কেড়ে নিয়েছে সুখ।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় মিম ও রাজকে নিয়ে আবারও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পরীমনি। পোস্টে পরীমনি লিখেন , ‘আসেন তা হলে কিছু বিষয় ক্লিয়ার করি। এই যে মিম বলল— আমি জেলাসি করলাম! এটা ১০ জন আননোন লোক বলতেই পারে; কিন্তু তুমি কি করে এটি বলো? যেখানে ‘পরাণ’ রিলিজের পর সবখানে আমি বলে আসছি— রাজের সঙ্গে তুমি জুটি হয়ে কাজ করো এবং তোমাদের জুটি দেখতে ভালো লাগে। এটি তোমরাও চাও।’
পরীমনি আরো বলেন, ‘এই তো সেদিন ইনফিনিটি সিজন-২ এর জন্য তোমাকে নক দিলাম আমি। কি করে ভুলে গেলি রে! ৫ দিন আগে আবু রায়হান ভাইকে বললাম— রাজ আর মিমকে জুটি করে নেক্সট কাজটা করে ফেলেন।’
মিমকে উদ্দেশ্য করে পরীমনি বলেন, ‘কিন্তু বিশ্বাস কর মিম, রাজের সঙ্গে তোর এই অতি মাখামাখিটা আমার সংসার, আমার বাচ্চা, আমার লাইফ— সব কিছুতে ঝামেলা করে দিচ্ছে। এই যে ‘দামাল’র তিন মাসের হলো রাইটস নিলা রাজ তুমি, তোমরা সবাই— এই হলো কাল আমার জীবনের। এখন তোমাদের ব্যবসায়িক ছুতোয় আলাপ চলে রাত-দিন। বিশ্বাস করো তোমাদের এই মাঝ রাত্তিরের ফোনালাপ আমার সত্যিই প্রবলেম করে। আমি একা সারারাত বাচ্চাটাকে সামলাই। এসব বন্ধ করো।’
মাহফুজা ১২/১১