খুলনার সোনাডাঙ্গা বিহারী কলোনী এলাকার শিশু ধর্ষণ মামলায় আদালত ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন । একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া এই মামলার অপর চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন বিচারক।
মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেনখুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমনন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক ছালাম খান । রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল -পিপি ফরিদ আহমেদ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোরশেদুল ইসলাম (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন , রাব্বি হাসান , মাহামুদ হাসান, কাজী আরিফুল ইসলাম (পলাতক) ও মিম হোসেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামি মোরশেদুল এর সঙ্গে শিশুটির পরিচয় হলে ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিশুটিকে ডেকে নেয় । সাহেবের কবর খানায় দুজনের দেখা করে। সেখান থেকে শিশুটিকে নেয়া হয় আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গার বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। পরে শিশুটিকে সেখানে ধর্ষণ করে শান্ত এবং এ দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেন অন্যরা। পরে অন্য আসামিরাও পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
সন্ধ্যার দিকে ধর্ষণ শেষে আসামিরা শিশুটিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনাটি ভিকটিম তার বড় বোনকে জানায় এবং শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরেরদিন বড় বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আজ মঙ্গলবার সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় দেন বিচারক।
মাহফুজা ৮-১১