আজ ১২ রবিউল আউয়াল। এক হাজার ৪৪৪ বছর আগে আজকের এই দিনে মক্কা নগরীতে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ১২ রবিউল আউয়ালকে পুণ্যময় ও পবিত্র দিন হিসেবে বিবেচনা করেন। আরব যখন পাপ আর অবিচারের অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, মহান আল্লাহ তখন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন ।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেন। সমুদয় মানবীয় সদগুণের- করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা ছিলো তাঁর বৈশিষ্ঠ্য ।
ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তার ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মানুষ হিসেবে তিনি সব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।
তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ঠিক এ দিনেই। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
আজ দেশে সরকারি ছুটি। বাংলাদেশে দিনটি সরকারিভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালনের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ।এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবীর (সা.) ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। পত্রিকায় ক্রোড়পত্র ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারিত হবে।
মাহফুজা ৯-১০