দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক তোয়াব খানকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সোমবার বাদ আসর বনানী কবরস্থানে মেয়ে এষা খানের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় দৈনিক বাংলার কার্যালয়ে সম্পন্ন হয় প্রথম জানাজা। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তোয়াব খানের মরদেহ রাখা হলে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার মরদেহ নেয়া হলে সেখানে সাংবাদিকরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং জানাজা হয়। বাদ আসর গুলশান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় তোয়াব খানের তৃতীয় জানাজা । এরপর নিয়ে যাওয়া হয় তোয়াব খানের মরদেহ বনানী কবরস্থানে ।
এসময় দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু, নিউজ বাংলার নির্বাহী সম্পাদক হাসান ইমাম , আজকের পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সেলিম খান, তোয়াব খানের ছোট ভাই ওবায়দুল কবীর খানসহ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তোয়াব খান এবং তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের -পিআইবি মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।
তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন । এরপর দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।
মাহফুজা ৩=১০