পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন -পিবিআই সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হলেন এ মামলার বাদী। এ মামলা করা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে । মঙ্গলবার রাতে পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ।
পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ এবং প্রচার করা মামলার মোড় ঘোরানোর চেষ্টা, সাম্প্রদায়িক উসকানি, পিবিআই এবং পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ঠ করার অভিযোগ করা হয়।
প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন । ইউটিউবে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ তোলেন ইলিয়াস। ভিডিওতে বলা হয়, এ মামলায় বনজ কুমার মজুমদার বাবুলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন । তাকে রিমান্ডে নির্যাতনও এবং মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অভিযোগও করেন তিনি।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন । তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পিবিআই বাবুল আক্তারের করা মামলায় মিতু হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় । গেল বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে পিবিআই বাবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় । এরপর থেকে তিনি কারাগারে এবং তখন থেকে দুটি মামলার তদন্তও করছে পিবিআই।
বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল । তবে আদালত তার মামলার আবেদনটি খারিজ করে দেন ।
মাহফুজা ২৭-৯