দেশের আট জেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন ১০ জন। এদের মধ্যে খুলনায় একজন, মানিকগঞ্জে ১, কিশোরগঞ্জে ২, চুয়াডাঙ্গায় ১, ফরিদপুরে ২, সাতক্ষীরায় ১, পিরোজপুরে ১ এবং ময়মনসিংহে একজন মারা গেছেন।
সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
খুলনার কয়রা উপজেলায় বজ্রপাতে শহিদুল গাজী নামে এক মৎস্য চাষি মারা গেছেন। মৃত শহিদুল আমাদির নাকশা গ্রামের মৃত মজিবর রহমান গাজীর ছেলে।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে বজ্রপাতে আনোয়ারা বেগম (৫০) নামে এক নারী মারা যান। বাড়ির পাশে একটি খোলা মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই আনোয়ারা মারা যান।
কিশোরগঞ্জের ইটনা ও হোসেনপুর উপজেলায় বজ্রপাতে এক দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- হোসেনপুর জিনারীর চর হাজীপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নূর নাহারও ইটনার বাদলার বর্শিকুড়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে বাবুল মিয়া । সকালে নূর নাহার ছাগল আনতে গেলে এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপর দিকে দুপুরে বাবুল মিয়া মান্দার হাওরে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান ।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা গ্রামে বজ্রপাতে সাজু আহমেদ (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
ফরিদপুর সদর ও মধুখালীতে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, মধুখালীর খোদা বাসপুর গ্রামের তোরাব মোল্যার ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্যা ও সদর উপজেলার চর ধোলাই গ্রামের গেন্দু শেখের ছেলে খলিল শেখ ।
দুপুরে সাতক্ষীরার দেবহাটার ভাতশালা স্কুলমাঠে খেলার সময় বজ্রপাতে শুভজিৎ সরকার নামের এক ছাত্র মারা যান।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মোফাজ্জেল হাওলাদার (৭৪) নামের এক বৃদ্ধের মারা যান।
সকাল সাড়ে ১১টায় ময়মনসিংহের নান্দাইলে বরিল্যা গ্রামে বজ্রপাতে জাকির হোসেন (২৫) নামের এক কৃষকের মারা যান। সকালের খাবার খেয়ে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে কাজ করতে গেলে এসময় হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাহফুজা ৫-৯