পর্তুগাল ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের মতো খরায় পুড়ছে । দেশটির সরকার ৪৩টি পৌরসভায় ভোক্তাদের জন্য পানির দাম বাড়াতে এবং রাস্তা ধোয়া ও গাছে পানি দেয়া বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে । খবরটি নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
পর্তুগালের জাতীয় আবহাওয়া ইনস্টিটিউট -আইপিএমএ জানায়, কয়েক মাস ধরে দেশটিতে তীব্র খরা চলছে।
বুধবার পর্তুগিজ পরিবেশমন্ত্রী দুয়ার্তে কর্ডেইরো জানান, মূল ভূখণ্ডের ৬১টি বাঁধের মধ্যে ১০টির অবস্থা সংকটজনক এবং এসব বাঁধে ধারণক্ষমতার ২০ শতাংশ নিচে নেমে গেছে পানির পরিমাণ। প্রায় শুকিয়ে যাওয়া এসব বাঁধ থেকে পর্তুগালের উত্তর ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ৪০টি এবং আলগারভের তিনটি পৌরসভায় সরবরাহ করা হয় পানি। কর্ডেইরো আরো বলেন, দেশের জলাধারে দুই বছরের চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত পানি থাকলেও সংকটজনক অবস্থায় থাকা ১০টিতে এক বছরের পানিও নেই।
পর্তুগিজ পরিবেশমন্ত্রী জানান, খরার সবচেয়ে গুরুতর পরিস্থিতিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৪৩টি পৌরসভায় গ্রাহকদের জন্য পানির দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সরকার। মাসে ১৫ ঘনমিটারের বেশি পানি ব্যবহার করে, এমন পরিবার ও সংস্থাগুলোর জন্যই বাড়বে পানির দাম। প্রতিটি পরিবার মাসে গড়ে ১০ ঘনমিটার পানি ব্যবহার করে পর্তুগালে। সাময়িকভাবে পানির অনাবশ্যক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, যেমন- রাস্তা ধোয়া, পার্ক বা বাগানের গাছে, ফোয়ারা ও সুইমিং পুলে পানি দেয়া ইত্যাদি।
পর্তুগিজ সরকার ফেব্রুয়ারিতে ছয়টি বাঁধে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেয় ।
মাহফুজা ২৫