ইউরোপের নদীগুলো গ্রীষ্মের দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে ।
রাইন নদী জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। জাহাজ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়তে চলেছে এর একটি প্রধান পয়েন্ট। মধ্য ইউরোপের সঙ্গে কৃষ্ণসাগরের সংযোগ দানিউব নদীর পানিও দ্রুত কমে যাচ্ছে। এর ফলে ইউরোপের জ্বালানি-শস্যসহ অন্যান্য বাণিজ্য পড়েছে হুমকির মুখে। বুলগেরিয়া, রোমানিয়া ও সার্বিয়ায় দানিউব নদীতে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে।
ফ্রান্স রোন ও গ্যারোন নদীর পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক চুল্লিগুলো ঠান্ডা করতে পারছে না । এতে দেশটিতে বৈদ্যুতিক সংকট বেড়ে গেছে। ভয়াবহতম খরার কারণে ফ্রান্সের বেশিরভাগ অংশে পানি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়। দেশটির ১০০টির বেশি পৌরসভা এখন ট্রাকের সাহায্যে খাবার পানি সরবরাহ করছে।
ইতালির পো নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ধানক্ষেতে সেচ দেয়া হয়ে পড়েছে কঠিন । পো নদীর উপত্যকায় ইতালির মোট কৃষি উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশই হয়। তবে এর পানির স্তর ৭০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই অঞ্চলে ভুট্টা, সূর্যমুখীসহ সব ধরনের শস্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইউরোপের নদী ও খালগুলো সেখানকার প্রত্যেক বাসিন্দার জন্য বছরে অন্তত এক টন মালামাল পরিবহন করে। জার্মান ফেডারেল ওয়াটারওয়েজ অ্যান্ড শিপিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গেল বুধবার জানায়, শনিবার রাইন নদীর পানির স্তর ৩৭ সেন্টিমিটারে নেমে যেতে পারে।
ডুনাভ ট্যুরস এডি’র ট্যুরিস্ট সার্ভিসের প্রধান রোসেন ওসেনভ বলেন, আমাদের এখন প্রার্থনা করতে হবে বৃষ্টির জন্য ।
মাহফুজা ১১-৮