দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল ও এর আশপাশের এলাকাগুলো বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। ভয়াবহ বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় মারা গেছেন সাতজন। এখনো ছয়জন নিখোঁজ আছেন। ওই অঞ্চলে গেল আট দশকের মধ্যে এমন বৃষ্টিপাত আর দেখা যায়নি। ব্লুমবার্গ ও ইয়োনহাপ খবরটি নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার ৯ আগস্ট দক্ষিণ কোরীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, সিউলের কিছু অংশ, পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর শহর ইনচিওন এবং জিওংগি প্রদেশে সোমবার রাতে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়। তবে সিউলের ডংজাক এ প্রতি ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত ১৪১ দশমিক ৫ মিলিমিটার অতিক্রম করে, যা ১৯৪২ সালের পর সর্বোচ্চ।
প্রবল বর্ষণ ও জলাবদ্ধতায় সিউলে পাঁচজন মারা গেছেন এবং চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া জিওংগি প্রদেশে মারা গেছেন দু’জন এবং নিখোঁজ আরও দু’জন আছেন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ ।
রাজধানী সিউলে গৃহহীন হয়ে পড়েছে ১০৭টি পরিবার এবং স্কুলসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে তারা।
প্রবল বৃষ্টিতে এসব এলাকার রাস্তাঘাট ও পার্কগুলোর ডুবে গেছে । সিউল, ইনচিওনসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত আট জায়গার রেললাইন বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে রেলওয়ে ও সাবওয়ের বেশ কয়েকটি শিডিউল স্থগিত করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল কর্তৃপক্ষগুলোকে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানান এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোকে কর্মীদের কাজের সময় সামঞ্জস্য করার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, আকস্মিক বন্যার কারণে গণপরিবহন ফের চালু করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
মাহফুজা ৯-৮