৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    ওয়ানডেতেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের হার

    স্পোর্টস ডেস্ক : তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে জিম্বাবুয়ের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।  এ হারের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের পর  জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডেতে হারলো বাংলাদেশ। আর এ জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজের ১-০ এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

    হারারেতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যান পেলেন ফিফটি। তামিম, লিটন, এনামুল ও মুশফিকের ব্যাটে চড়ে ২ উইকেটে ৩০৩ রান তোলে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে তিন শতাধিক রান দেখে মনে হয়েছিল ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতেই নেবে। কিন্তু ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার জোড়া সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ে কড়া জবাব দেয়। তাতে ১০ বল আগে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

    কাইয়া ১১২ বলে ১১০ রানে আউট হলেও রাজা ১০৯ বলে ১৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৮ চার ও ৬ ছক্কায় মাঠ মাতিয়ে রাখেন এ ব্যাটসম্যান। ৪৩ রানে তাইজুল তার ক্যাচ ছেড়েছিল। কাইয়াকেও জীবন দিয়েছিলেন তাসকিন ও শরিফুল। তার স্ট্যাম্পিং মিস করেছিলেন এনামুল।

    একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় বাংলাদেশ নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই ডুবিয়েছে। অথচ একটা সময় জিম্বাবুয়ের রান ছিল ৩ উইকেটে ৬২। সেখান থেকে কাইয়া ও রাজা ১৭২ বলে ১৯২ রানের জুটি গড়েন। বারবার সুযোগ দিয়েও দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান টিকে যান। লিখে ফেলেন জিম্বাবুয়ের অসাধারণ এক জয়ের গল্প।

    তাদের ১৯২ রানের জুটি ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেটে তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ। কাইয়া তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। বাংলাদেশকে বারবার ভোগানো রাজার এটা চতুর্থ শতক। দলগত নৈপুণ্যে জিম্বাবুয়ে খারাপ নয়, তা আরও একবার প্রমাণ করলো। ওয়ানডে ইতিহাসে এবার নিয়ে চতুর্থবার তারা তিন শতাধিক রান তুললো।

    এর আগে স্থানীয় সময় সকালে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল সাবধানী। তামিম ও লিটন কোনো ঝুঁকি না নিয়ে ব্যাটিং করে এক-দুই রান নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। বাউন্ডারি মেরেছেন কেবল বাজে বল পেলেই। দুজনের জুটির রান ২৪তম ওভারে তিন অঙ্কে পৌঁছে যায়। ৭৯ বলে ফিফটি পাওয়া তামিম ৫৭ রান তুলে এ ফরম্যাটে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ৮ হাজার রান তুলে নেন। তবে মাইফলক ছোঁয়া ইনিংসটিকে বড় করতে পারেননি। ৮৮ বলে ৯ চারে তামিম ফেরেন ৬২ রানে।

    তামিমের পথ অনুসরণ করে লিটনও ৭৫ বলে তুলে নেন ফিফটি। কিন্তু ফিফটির পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তোলেন। মনে হচ্ছিল তার ব্যাটে আরেকটি সেঞ্চুরি আঁকা হবে। কিন্তু রান নেওয়ার চেষ্টায় পায়ে টান লাগায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ৮৯ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮১ রান করেন তিনি।

    তিন বছর পর দলে ফেরা এনামুল থিতু হতে সময় নেন। এরপর তাকে আটকানো যায়নি। আগ্রাসী মনোভাবে ব্যাটিং করে ৪৭ বলে তোলেন ফিফটি। সেই ধারাবহিকতা রাখেন পরেও। কিন্তু দ্রুত রান তোলার তাড়ায় তার ইনিংসটি থেমে যায় ৭৩ রানে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮ বছর পর এ ব্যাটসম্যান পেলেন ফিফটি।

    ছুটি শেষে এ ম‌্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক। শেষ দিকে ব‌্যাটিংয়ে নেমে দলের প্রয়োজন মতো ঝড় তুলতে না পারলেও কার্যকরী ছিলেন। নির্ভরযোগ‍্য এই মিডল অর্ডার ব‍্যাটসম‍্যানের ৪৯ বলে খেলা ৫২ রানের ইনিংস গড়া ৫ চারে। মাহমুদউল্লাহর ব‌্যাট থেকে আসে ১২ বলে ২০ রান।

    হাতে উইকেট থাকলেও শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান খুব একটা বাড়েনি। এ সময়ে মাত্র ৯০ রান পেয়েছে বাংলাদেশ। এই রান পর্যাপ্ত ছিল না তা ম‌্যাচ শেষে বলেছেন তামিম। অধিনায়কের মতে, ১৫-২০ রান কম হয়েছে।

    ব‌্যাটিংয়ে ১৫-২০ রান কম অধিনায়কের অনুভব হতো না নিশ্চয়ই, যদি ফিল্ডিংয়ে সুযোগগুলো নিতে পারতেন ফিল্ডাররা।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর