দু’দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে খাদ্য শস্য নিয়ে চুক্তির পর এই প্রথম শস্যবাহী একটি জাহাজ পৌঁছেছে তুরস্কের বসফরাস প্রণালীতে ।
রাশিয়ার ইউক্রেনযুদ্ধ শুরুর পর অবরুদ্ধ ছিল ইউক্রেনের বন্দরগুলো । সম্প্রতি জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দু’দেশ জাহাজ চলাচল করার ব্যাপারে ঐক্যমত্যে পৌঁছায়।
সোমবার ১ আগস্ট সকালে ‘রাজোনি’ নামের সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী জাহাজটি ওডেসা থেকে রওনা দেয় লেবাননের ত্রিপোলি বন্দরের উদ্দেশ্যে বলে জানান তুরস্ক ও ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ।
জাতিসংঘ ও তুরস্ক আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে যে সাগরের একটি নিরাপদ করিডোর দিয়ে চলবে এই শস্যবাহী জাহাজ । প্রথম জাহাজটি বহন করছে ২৬ হাজার টন শস্য ।
ইউক্রেন থেকে খাদ্যবাহী কোনো জাহাজে রাশিয়া আক্রমণ করবে না, তবে এসব জাহাজে করে ইউক্রেন যেন অস্ত্র না আনতে পারে তা নিশ্চিত করবে তুরস্ক।
মঙ্গলবার ২ আগস্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন শস্য রপ্তানি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য।
ওডেসা ও তার আশপাশের বন্দরগুলোতে আরো ১৬টি জাহাজ ৬০০,০০০ টন খাদ্য শস্য নিয়ে অপেক্ষা করছে। এসব খাদ্যপণ্য আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেখানে সংকট রয়েছে সেখানে রপ্তানি করা হবে বলে জানায় ইউক্রেনের সরকার।
বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে খাদ্যশস্য রপ্তানির দিক থেকে ইউক্রেন। সানফ্লাওয়ার তেলের ৪২ শতাংশ, ভুট্টার ১৬ শতাংশ এবং গমের ৯ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশটিতে। ইউক্রেনের গম সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হওয়ার প্রথম তিনটি দেশের সারিতে রয়েছে মিশর, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ বলে জানায় জাতিসংঘের পরিসংখ্যান।
মাহফুজা ৩-৮