অবশেষে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে । করোনার পর রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকে। ছাড়িয়ে যায় অতীতের রেকর্ড। সারা বিশ্বে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে।
জানা গেছে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম চলতি সপ্তাহের শুরুতে ১০০ ডলারের নিচে নেমে আসে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী গেল পাঁচ সপ্তাহ ধরেই । ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৬৯ ডলারে। যুদ্ধের শুরুর দিকে ব্যারেল প্রতি দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৯ ডলারে। তারপর ধাপে ধাপে দাম কমতে থাকে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আগাম আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন ।
নিউইয়র্কভিত্তিক ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওনাডার বিশ্লেষক অ্যাডওয়ার্ড মোয়া ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বলেছিলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ হলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০০ ডলার ছাড়াতে কোনো বাধা থাকবে না।
অ্যাডওয়ার্ড মোয়ার এ বিশ্লেষণ সত্য প্রমাণিত হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধ শুরুর পর। এর পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলারে উঠে আসে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে যায়। আর ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ২২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও হিটিং অয়েলের দাম ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ে।
মাহফুজা ১৬-৭