বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে । এদিকে বন্যায় গত দুইদিনে মারা গেছেন আসামে ১২ এবং মেঘালয়ে ১৯ জন । রাজ্যগুলোর প্রধান নদ-নদীগুলোতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। খবরটি এনডিটিভি নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, আসাম ও মেঘালয়ের ২৫টি জেলার ১১ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র ও গৌরাঙ্গ নদীর পানি অনেক এলাকায় বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হয়ে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
সরকারি তথ্যমতে, পানির নিচে রয়েছে রাজ্যগুলোর অন্তত ১ হাজার ৫১০টি গ্রাম । বন্যাকবলিত জেলাগুলোর প্রশাসন এরই মধ্যে দুর্যোগ সতর্কতা জারি করেছে। জরুরি প্রয়োজন বা চিকিৎসার দরকার না হলে লোকজনকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
টানা তৃতীয় দিনের মতো জলাবদ্ধতার কারণে আসামের গুয়াহাটির বেশিরভাগ অংশ স্থবির হয়ে পড়েছে। খবর পাওয়া গেছে শহরটির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভূমিধসের ও। ভূমিধসে নুনমতি এলাকার অজন্তানগরে তিনজন আহত হয়েছে।
বক্সায় অবিরাম বর্ষণ এবং দিহিং নদীতে পানি বাড়লে বুধবার সুবানখাটা এলাকার একটি সেতু ধসে পড়ে। নলবাড়ি ও ঘোগরাপারের মধ্যে জলাবদ্ধতার কারণে ছয়টি ট্রেন বাতিল ও চারটি আংশিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার চারটি কমিটি গঠন করেছে যার নেতৃত্বে রয়েছেন একজন করে মন্ত্রী।
গেল বুধবার পর্যন্ত আসাম এবং মেঘালয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৭২ মিলিমিটার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ১৯৯৫ সালের জুন মাসের পর সর্বোচ্চ এবং ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ এ সপ্তাহ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য দুটিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ।
মাহফুজা ১৮