পাকিস্তানের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবাল ভাসমান অর্থনীতিকে চাঙা করতে সাধারণ জনগণকে চা পানের পরিমাণ কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান। বুধবার এ তথ্য বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয় ।
আহসান ইকবাল বলেন, চা আমদানি করতে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। আর দেশের মানুষ কিছুদিন চা কম খেলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ঋণ করে চা আমদানি করি তাই এক থেকে দুই কাপ চা কম পান করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান । তবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দ্রুত পতন ও উচ্চ আমদানি খরচ কমাতে এমন আহ্বান জানালেন মন্ত্রী।
বিভিন্ন জরিপের তথ্য বলছে,দেশটিতে গড়ে একজন মানুষ প্রতি বছর এক কেজি পরিমাণে চা পান করেন । পাকিস্তান চা আমদানিতে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে । দেশটি গেল বছর ৬০ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের চা আমদানি করে ।
বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে দোকানপাট স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ করারও জন্য ব্যবসায়ীদেরকে পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে, চা পান কমানো নিয়ে মন্ত্রীর এ বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে সংশয় প্রকাশ করছেন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। কম বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেশটির সব ধরনের আমদানির পণ্যের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এরই মধ্যে শাহবাজ সরকার ২৬টির মতো পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ জারি করেছে ।
চলতি বছর এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। কয়েক মাসের ব্যবধানে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলেছে অর্থনৈতিক সংকট শাহবাজ সরকারকে । যদিও দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য শাহবাজ সরকার ইমরান খানকেই দায়ী করছে ।
মাহফুজা ১৫