নিখোঁজের ৩৫ ঘণ্টা পর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বাড়ির তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক গৃবধূর ঝুলন্ত মরদেহ পুলিশউদ্ধার করেছে । শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার উপদইল গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূ শাহনাজ পারভীন খায়রুল ইসলামের স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূর বড় ভাই তৈমুর রহমান জানান, প্রায় দশ বছর আগে খায়রুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার বোন শাহনাজ পরভীনের। কয়েক বছর ধরে খায়রুল রাজধানীতে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করছেন। দুই সন্তানসহ তার বোন উপদইলে স্বামীর বাড়িতে থাকতো। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তিনি বলেন, আমার বোন জামাই আমাকে অভিযোগ করেন আমার বোন পরকীয়ায় লিপ্ত। কোনো ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। খোঁজাখুঁজির পর আমার বোনের বাড়িতে শুক্রবার রাত ১২টার সময় যাই। দেখি বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দেওয়া। বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার উপস্থিতিতে বাড়ির মূল ফটকের তালা ভাঙলে ভেতরে প্রবেশ করি। এরপর আমার বোনের শোয়ার ঘরও তালা দেওয়া ছিল। সেটিও ভাঙার পর দেখতে পাই আমার বোনের মরদেহ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে।
তৈমুর রহমানের অভিযোগ তার বোনকে হত্যা করেছেন তারই স্বামী খায়রুল। কয়েকদিন আগে তিনি ঢাকা থেকে গ্রামে এসেছিলেন। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে নিহতের স্বামী তৈমুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শনিবার বিকেলে খবর পায় পুলিশ। বাড়ির বারান্দায় শোয়া অবস্থায় ছিল মরদেহ। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।