১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

     হারে দিয়ে শেষ হলোও সিরিজ জয় টাইগারদের

    শেষ ভাল যার সব ভাল তার। তবে বাংলাদেশের শেষটা ভাল না হলেও সিরিজ জয়তো আগেই হয়েছে। তাই তেমন কোন আক্ষেপ নেই টাইগারদের। চট্টগ্রাম সিরিজের শেষ ম্যাচে  আফগানিস্তানের  কাছে  সাত উইকেটে হেরেছে  বাংলাদেশ। এ জয়ের মধ্য দিয়ে হোয়াইটওয়াশ থেকে রক্ষা পেলো  আফগানিস্তান।

    বাংলাদেশের দেয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৯ বল হাতে রেখে জয় বাগিয়ে নেয় আফগানরা।

    বাংলাদেশের দেয়া সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে স্বাগতিক বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও রিয়াজ হাসান। রানের তুবড়ি ছুটিয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে।

    একদিকে আফগান ওপেনারদের রান বন্যা, অপরদিকে চলছিল টাইগার ফিল্ডারদের মিস ফিল্ডিংয়ের মহড়া। সব মিলিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা।

    ১৬তম ওভারে আফগান শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব। তার স্পিন ভেলকিতে পরে মুশফিকুর রহিমের স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ৩৫ রানে সাজঘরে ফেরেন রিয়াজ। ভাঙ্গে সফরকারী দলের উদ্বোধনী জুটি।

    উইকেট আগলে ধরে চলতি সিরিজের নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন গুরবাজ। সঙ্গী রহমত শাহকে নিয়ে ছোটান রানের তুবড়ি। অর্ধশতকের দিকে ব্যাট চালানো শুরু করেছিলেন রহমতও।

    ৪৭ রানে তাকে থামিয়ে দেন মেহেদী মিরাজ। তার ব্যাক-টু-ব্যাক আঘাতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকেও। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২ রান।

    গুরবাজ দুইবার জীবন পেয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। তার অপরাজিত ১০৮ রানের সুবাদে সাত উইকেট আর ৫৮ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে তরী ভেরায় আফগানিস্তান।

    ম্যাচসেরাও হয়েছেন এ ব্যাটার। আর ২২৩ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন লিটন দাস।

    এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে এই দুই ব্যাটার স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৪৩ রান।

    একাদশতম ওভারের প্রথম বলে ফজলহক ফারুকি সরাসরি আঘাত হানেন তামিমের স্টাম্পে।

    এরপর লিটন ও সাকিব আল হাসান মিলে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে লিটন চার হাজারি ক্লাবে নিজের নাম লিখিয়ে নেন। সেই সঙ্গে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক।

    হাফ সেঞ্চুরি করে সেঞ্চুরির দিকে ব্যাট চালানো শুরু করেন লিটন। তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিচ্ছিলেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৩০ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে স্টাম্প হারান তিনি। আর তাতে ভাঙে সাকিব-লিটনের ৬১ রানের জুটি।

    তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৪। এরপরই আফগান বোলারদের তোপের মুখে পড়ে টাইগাররা।

    অল্পতে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। রাশিদ খানের বলে রহমানুল্লাহ গুরবাজের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

    ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাব্বিকে। রাশিদ খানের দ্বিতীয় শিকার বনে এক রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।

    উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন। তবে ৮৬ রানে তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মোহাম্মদ নাবি।

    আফিফ হোসেনও বেশিক্ষণ টেকেননি। ৫ রান করে মোহাম্মদ নাবির বলে ফেরেন এ হার্ডহিটার।

    এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কিছুটা সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও খুব একটা কাজে আসেনি সেই প্রতিরোধ। ১০৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো দলটি স্কোরবোর্ডে ৮৮ রান যোগ করতে হারায় তাদের বাকি ৮টি উইকেট।

    ১৯২ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংসের চাকা।

    আফগানদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন রাশিদ খান। দুটি নেন মোহাম্মদ নাবি আর একটি করে উইকেট যায় ফজল হক ফারুকি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ঝুলিতে।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর