১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    নতুন ইসি আ.লীগ সমর্থিত আমলানির্ভর : জাপা

    নতুন যে নির্বাচন কমিশন শপথ নিতে যাচ্ছে, তাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমলানির্ভর বলে মূল্যায়ন করেছে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। এই কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ের কথাও জানিয়েছে দলটি।

    সার্চ কমিটির সুপারিশ থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পাঁচজনকে বেছে নেয়ার পরদিন রোববার এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু।

    গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১২ দিন পর রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নাম জানানো হয়।

    এই কমিশনের প্রধান হতে যাচ্ছেন সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। অন্য সদস্যরা হলেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

    এদের মধ্যে সার্চ কমিটির কাছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেছিলেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বাকিদের নাম কারা প্রস্তাব করেছিলেন সেটি জানা যায়নি। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে কাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল, সেটি প্রকাশ পায়নি এখনও।

    জাপা নেতা চুন্নু দলের বনানীর চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সভা শেষে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া হলো, যে নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে, সেটা আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি আমলানির্ভর নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে পারবে কি না, আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

    ‘এই নির্বাচন কমিশনের আগামীর কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে যে তারা নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করতে পারছে কি না। তখনই বোঝা যাবে এই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা কতটুকু।’

    বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে বিএনপির যে মূল্যায়ন, তা নিয়ে চুন্নু বলেন, ‘বিএনপি কী বলল সেটা আমাদের বিষয় না। কারণ, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে পারেনি।’

    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি বলেও অভিযোগ করে জাপা মহাসচিব। বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, আবার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তার মানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দুটো দলই প্রমাণ করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।

    ‘আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এরশাদ সাহেব বলেছিলেন, আমাদের সব দলকে একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।’

    চুন্নু জানান, আসনভিত্তিকের বদলে ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদীয় আসন বরাদ্দ ছাড়া নিরপেক্ষ করা সম্ভব নয় বলেও মনে করে জাতীয় পার্টি।

    আরও কিছু আইনি প্রশ্নের সুরাহা হওয়া দরকার বলেও মনে করেন জাপা নেতা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে সমস্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী কাজ করবেন, তারা নির্বাচন কমিশনের আদেশ শুনতে বাধ্য। কিন্তু না শুনলে কী হবে সে বিষয়ে কোনো কিছু বলা নাই।

    ‘আমাদের দাবি ছিল নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীদের বাইরের যে সকল কর্মচারী নির্বাচনের সময় কাজ করবেন, তারা যদি কথা না শোনেন, তাহলে নির্বাচন কমিশনই যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, সেই ক্ষমতা দিয়ে একটা আইন করার জন্য। সে আইনটি সরকার করেনি।

    ‘যদি এই আইনটি করা হয়, তাহলে আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন তার সদিচ্ছা থাকলে কিছু করতে পারবে। তাছাড়া বর্তমান সিস্টেমে সুষ্ঠু নির্বাচন দুরূহ বিষয় হবে।’

    জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, আবুল হোসেন বাবলা, আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর