২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    সাবেক সচিব হাবিবুল আউয়ালকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন

    অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে প্রথমবারের মতো আইন অনুযায়ী গঠিত হলো নির্বাচন কমিশন ইসি।

    শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য চার নির্বাচন কমিশনার হলেন– অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।

    রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে দেয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

    কাজী হাবিবুল আউয়াল অবিভক্ত আইন মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।

    গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। এই কমিটি নিজেদের মধ্যে বৈঠক ছাড়াও বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের পরামর্শ নেয়।

    কমিটি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সুপারিশ করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহ্বান করে। এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ আগ্রহী হলে তারও নাম জমা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়।গত ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নাম পাঠানোর সুযোগ ছিল। পরে দুদিন বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসা পরামর্শের ভিত্তিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবার নাম পাঠানোর সুযোগ দেয়া হয়।

    তবে যে কারণে এই বাড়তি সময় দেয়া হয় সেটি সফল হয়নি। বিএনপি বর্ধিত সময়েও কোনো নাম প্রস্তাব করেনি।

    জমা পড়া ৩২২টি নাম গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। পরদিন আট বিশিষ্ট সাংবাদিকের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেও কিছু নাম আসে সার্চ কমিটিতে।

    এরপর তালিকা সংক্ষিপ্ত করতে ১৯ ফেব্রুয়ারি বসে আরেকটি বৈঠক। ওই বৈঠকে তালিকা থেকে তিন শতাধিক নাম ছেঁটে ফেলা হয়।

    ২০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করার দিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) সামসুল আরেফিন জানান, আরও দু-একটি বৈঠক করে ১০ জনের চূড়ান্ত তালিকা করে রাষ্ট্রপতির কাছে দেয়া হবে।

    তবে পরের দিনের বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা যায়নি। সেই তালিকায় থাকে ১৩ নাম। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত করা হয় ১০ নাম।

    এর আগেও দুটি নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটি গঠন করে করা হয়েছিল। এই কমিটি রাষ্ট্রপতিকে নাম সুপারিশ করার পর ২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ ও ২০১৭ সালে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। দু’বারই বিএনপি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। সার্চ কমিটিতে নামের তালিকাও জমা দেয় দলটি। তবে এবার বিএনপি শুরু থেকেই সার্চ কমিটির বিরোধিতা করেছে। সার্চ কমিটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে বৈঠকে অংশ নেয়নি। কোনো নামও দেয়নি।

    নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে আপিল বিভাগ অসাংবিধানিক ঘোষণার পর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনে আওয়ামী লীগ। তবে এর প্রতিবাদে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহতের ডাক দিয়ে আন্দোলনে নামে বিএনপি।

    ব্যাপক প্রাণহানি ও সহিংস সেই ভোটের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট অংশ নেয় দলীয় সরকারের অধীনেই। তবে সেই নির্বাচনে আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে- এমন অভিযোগ ওঠে। এ কারণে দলীয় সরকারের অধীনে আর ভোটে যেতে চাইছে না দলটি।

    তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা একটি মীমাংসিত ইস্যু। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন করতে এবার নির্বাচন কমিশন আইনও করা হয়েছে। আর এই আইনের আলোকেই গঠন করা হয় সার্চ কমিটি।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর