নাটোরে কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া স্বামী মামুন হোসাইন জামিন পেলেন । গেল ৮ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
মামুনের জামিনের বিষয়টি শনিবার জানাজানি হয়। তবে খায়রুন নাহারের মৃত্যুর রহস্য জানা যায়নি এখনও।
৮ সেপ্টেম্বর মামুনকে নাটোর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে মামুনকে অস্থায়ী জামিন দেন বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলজার রহমানের আদালত। আদালত২৩ সেপ্টেম্বর মামুনের জামিনের মেয়াদ বর্ধিত করেন । বিচারক আগামী ২৫ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার স্বপন জানান, মামুন হোসেনকে আটকের ২৬ দিন পর ৮ সেপ্টেম্বর নাটোর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার জামিনের আবেদন করলে বিচারক অস্থায়ী জামিনের আদেশ দেন।
কলেজ শিক্ষিকার বড় ছেলে সালমান নাফি বলেন, ‘আমার মাকে আত্মহত্যা করার জন্য বাধ্য করেছে মামুন। আমি চাই আমার মায়ের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দোষীকে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি।’
খায়রুন এর চাচাতো ভাই সাবের উদ্দীন ও নাঈম হাসান বলেন, বিয়ের পর মামুন খাইরুনকে টাকা-পয়সার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল এবং টাকার জন্য অনেক সময় তাকে মারধর করতো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোর সদর থানার এসআই এ জে মিন্টু বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। এতে শিক্ষিকার মৃত্যুর সঙ্গে স্বামী মামুনের জড়িত থাকতে পারে এমন ধারণায় তাকে ওই মামলায় ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় ।
১৪ আগস্ট রোববার সকাল ৭টায় নাটোরের বলারিপাড়া এলাকায় চারতলার এক ভাড়া বাসা থেকে খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাতে উপজেলার স্থানীয় আবু বকর সিদ্দিকী কওমী মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে খামার নাচকৈড় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
মাহফুজা ১৬-১০