নড়াইলবাসী লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ করলো । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের কুরিরডোব মাঠে এর আয়োজন করা হয়। একই সঙ্গে ভাষা দিবসের ৭২তম বার্ষিকীতে ওড়ানো হয় ৭২টি ফানুস ।
নড়াইল শহরের কুরিগ্রামের বিশাল কুরিরডোব মাঠে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে লাখো মোমবাতি জ্বলে ওঠে। এবার মাঠের মধ্যে বিশাল কৃত্রিম পুকুর তৈরি করে সেখানে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাসমান আলোকসজ্জা করা হয়।
এবারও শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন ধরনের আলপনা তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার আগে মোমবাতি প্রজ্বলনে দেড় হাজার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অংশ নেন এতে। তিনশ পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী মাঠ নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। নড়াইল, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মনোরম এ দৃশ্য উপভোগ করেন।
১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের ৬ একরের বিশাল কুরিরডোব মাঠে সন্ধ্যায় ভাষা শহীদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণে ব্যতিক্রমী এ আয়োজনটি শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে ১ মাস আগে থেকে সাংস্কৃতিক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করেন।
একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক কচি খন্দকার বলেন, এ মঙ্গল প্রদীপের আলো সমাজ থেকে কুসংস্কার, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ দূর করবে। পৃথিবীর সব মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে আলোকিত করবে।
একুশ আলো উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে সহ-সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরু হয় এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহানারা বেগম, নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা, একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক নাট্যকার কচি খন্দকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মলয় কুন্ডু, মলয় কুন্ডু।
মাহফুজা ২১-২