১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    যারা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় এনেছে, তাদেরকে সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য – প্রধানমন্ত্রী

    ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে। যারা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় এনেছে, তাদেরকে সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সকালে ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ‘বীর নিবাস’ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অংশ নেন

    একটা সময় ছিল, যখন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া কঠিন ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে ফেলার চেষ্টা চলেছে। আমাদের সরকার  দল মত নির্বিশেষে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই সম্মানের ব্যবস্থা আমরা করেছি বলেও জানান সরকারপ্রধান।। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে, এটাই আমরা চাই। বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারকেও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

    তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে তারা যেন সম্মান পায় সেই ব্যবস্থা করেছি। আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা না, তাদের সন্তান ও বংশ পরম্পরায় যারা আসবে তারাও যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রায় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

    সরকারপ্রধান আরো বলেন, ন্যূনতম ভাতা এখন ২০ হাজার টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া অনেকের ঘর নেই, বাড়ি নেই, মানবেতর জীবন-যাপন করছে; এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। একজন মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করবে বা রিকশা চালাবে যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় তখন এটা হতে পারে না। সেজন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর-বাড়ি তৈরি করেছি, জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা এবং তাদের জন্য বৈশাখী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করেছি।

    পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বীর নিবাস হস্তান্তর করা হয় এবং এ বছর ৩০ হাজার বীর নিবাস তৈরি করে দেয়া হবে জানান তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ এটা জনযুদ্ধ ছিল। এখানে সশস্ত্র বাহিনী, আনসার ও পুলিশ বাহিনী ছাড়াও সাধারণ জনগণ শত্রুর মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। যার যা আছে তা নিয়েই শত্রু মোকাবিলা করেছে।

    তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল, হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে যারা ছিল তাদেরকে ক্ষমতায় বসান। তারাই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, উপদেষ্টা, তারাই ক্ষমতায় বসেন। স্বাভাবিকভাবে মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এমন কী চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হলে তাদেরকে দেওয়া হতো না। এই ধরনের দুর্ভাগ্য মতো পরিবেশ ২১ বছর পর্যন্ত চলে।

    তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা যাওয়ার জন্য  সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেয়। তাদের ভোট চুরি হয়েছিল বলে সেখানে আন্দোলন হয়, সেই আন্দোলনের ফলে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

    ১৪ বছরের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আমরা এরইমধ্যে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি এবং  উন্নয়নশীল বাংলাদেশের মর্যাদা পেয়েছি। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো বলে জানান সরকারপ্রধান।

    মাহফুজা ১৫-২

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর