তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পর ৪১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবরটি জানায় আল-জাজিরা।
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের দেশের নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪১৮ জন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় মারা গেছেন ৫ হাজার ৮০০জন। তুরস্কে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং সিরিয়ায় এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
মঙ্গলবার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন কাহরামানমারাস প্রদেশের ১৭ ও ২১ বছর বয়সী দুই ভাই। প্রায় ২০০ ঘন্টা পর আন্তাকিয়া প্রদেশ থেকে এক সিরিয়ান যুবক ও নারীকে উদ্ধার করা হয়।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দেশ দুটিতে উদ্ধার তৎপরতা প্রায় শেষের দিকে । তবুও বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
দেশ দুটিতে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেকারণে এখন জরুরি সহায়তার দিকে মনোযোগী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান আঙ্কারায় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের দেশেই নয়, মানবতার ইতিহাসেও সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছি।’ তবে তিনি সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান।
জাতিসংঘ বলছে, উদ্ধার পর্ব শেষ হয়ে আসছে। এখন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজনের খাদ্যসহ অন্যান্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের একটি খেলার মাঠে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। তারা খেলার মাঠে প্লাস্টিক, কম্বল এবং কার্ডবোর্ড ব্যবহার করে তাঁবু গেড়ে থাকছেন।
‘উভয় দেশের ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তা জরুরি হয়ে পড়েছে। বৈরি আবহাওয়ায় তাদের জরুরিভিত্তিতে খাদ্য, স্যানিটারি ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা দরকার বলে জানান ইউরোপবিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক হ্যান্স হেনরি পি. ক্লুজ ।
মাহফুজা ১৫-২