১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাহাবুদ্দিন চুপ্পু নির্বাচিত

    দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হলেন।

    সোমবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বিষয়টি ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানান তিনি।  এ বিষয়ে আজই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন  কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    সিইসি বলেন,  আজ মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত দিন ছিল। বাছাইয়ের সময় যারা প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র বাছাই করে দুটির মধ্যে একটি মনোনয়নপত্র সম্পূর্ণভাবে বৈধ হয়েছে। নির্বাচনী কর্তা হিসেবে বৈধ হওয়া একটি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছি এবং আরেকটি মনোনয়পত্র গ্রহণের কার্যকারিতা ছিল না।

    এরপর লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখ সকাল ১০টা হইতে অপরাহ্ন ৪টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর মাত্র একজনের মনোনয়ন বৈধ থাকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৭নং আইন) এর ধারা ৭ অনুসারে জনাব মো. সাহাবুদ্দিনকে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

    গেল ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতির জন্য মনোনীত প্রার্থী চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে বাছাই করেন।

    গতকাল আওয়ামী লীগ মনোনীত রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন কমিশন ভবনে আসেন ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।

    ১৯৪৯ সালে মো. সাহাবুদ্দিনের পাবনায় জন্ম গ্রহণ করেন।তার বাবা মরহুম শরফুদ্দীন আনসারী এবং মা মোসাম্মৎ খায়রুন্নেছা।  তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। পাবনায় স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারীদের অন্যতম মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এরপর ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। কর্মজীবনে তিনি সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ ও জেলা জজ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যাপকও ছিলেন তিনি।

    বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    মো. সাহাবুদ্দিন ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । তখন সরকারের কাছে এ বিষয়ে ১৩৯৭ পৃষ্ঠার রিপোর্ট পেশ করেছিলেন তিনি।

    তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের যুগ্ম সচিব থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তাদের একমাত্র সন্তান মো. আরশাদ আদনান একটি বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

    রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং  সেই অনুযায়ী তার ৫ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।

    মাহফুজা ১৩-২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর