প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যবই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কোন কারনে বই না পেলে ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে শিক্ষকরা পড়াতে পারেন বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
যেখানে বই পাঠানোর বাকি ছিল তাদের গেল মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। এরপরও যদি কোথাও বই পৌঁছাতে দেরি হয়ে থাকে অবশ্যই আমরা বিষয়টি দেখব। তবে আমি সবাইকে বলব ওয়েবসাইটে প্রতিটি বই দেওয়া আছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘শুধু জ্ঞানভিত্তিক নয়, দক্ষতাভিত্তিক, সফটস্কিল ও মূল্যবোধ শেখার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট নাগরিক হয়ে উঠবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িতকতা, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা, কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে আর অন্যরা অর্থবিত্তের পাহাড় গড়বে এগুলো স্মার্ট রাজনীতি হতে দিবে না। যারা এখনো অপরাজনীতির চর্চা করেন, স্মার্ট রাজনীতির জন্য তাদেরকেও সঠিক রাজনীতিতে ফিরে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যাও ঠিক পিতার মতো যখন যে স্বপ্ন দেখান তা বাস্তবায়ন করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের দেশের কথা বলেছিলেন। তা বাস্তবায়ন করেছেন। এখন তিনি আমাদের বলেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হব। সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
দীপু মনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজের জন্য ডিজিটাল সংযোগ মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিটি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রায় রাজনীতিতেও স্মার্ট হতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল স্মার্ট বাংলাদেশকে প্রধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে। মিথ্যাচার, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মানুষকে পুড়িয়ে মারা কোনোভাবেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট রাজনীতির অংশ হতে পারে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূইয়া, চাঁদপুর কোর্টের পিপি অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরীসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মাহফুজা ৩-১