২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সব বিভাগে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি

    বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমানোসহ পূর্বঘোষিত ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সব বিভাগে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

    বুধবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে আয়োজিত এক সমাবেশে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন, নির্যাতনের প্রতিবাদে, বিরোধী দলীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমানো ও ১০ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ পালন করা হবে।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে এবং সেগুলো পরে আপনাদের জানিয়ে দেব।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে সন্ত্রাসের ইতিহাস। সন্ত্রাস কায়েম করে তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। আজ ৫০ বছর পরও চিৎকার করে বলতে হচ্ছে, গণতন্ত্র চাই, ভোটাধিকার চাই

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রশ্ন তুলে ফখরুল বলেন, কোন রাষ্ট্রপতি? তিনি কি কিছু করতে পারেন? তিনি কি প্রধানমন্ত্রীর বাহিরে যেতে পারেন? এজন্য আমরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য এনেছি।

    ফখরুল বলেন, আজ এ সরকার সচেতনভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচনে তামাশা তৈরি করেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই- এই তামাশার নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। তাই এই সরকারকে সরাতে হবে।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময় হয়ে গেছে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার। তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এখন দেশের মানুষ ডিম খেয়েও বাঁচতে পারছে না। গ্যাসের দাম বেড়েছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মানুষ আর এ সরকারের শোষণ নিতে পারছে না।

    ফখরুল বলেন, আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগ সরকারে হাতে গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে। বাকশাল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের পত্রিকাগুলো বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। সেদিন বাকশাল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আমাদের দেশের তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী সেদিন আওয়ামী লীগ সরকারকে সাপোর্ট দিয়েছিল।

    তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্র বিশ্বাসী নয়। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু কাজ করে উল্টো। আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে সন্ত্রাসের। আওয়ামী লীগের ইতিহাস অবৈধ ক্ষমতা দখলের। আজ অধিকারের জন্য, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগের সরকারের হাতে প্রাণ দিচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের প্রাণ দিতে হয়েছে অসংখ্য।

    মির্জা ফখরুল আরও বলেন, একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি, বিএনপি যেদিন প্রোগ্রাম দেয়, তখনি একটা পাল্টা প্রোগ্রাম দেয় আওয়ামী লীগ। আজ আমরা এখানে (নয়াপল্টন) প্রোগ্রাম করছি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অফিসেও (গুলিস্তান) তাদের কিছু একটা চলছে। নিজেদের প্রতি তাদের আস্থার অভাব। এতো ভয়, বিএনপি প্রোগ্রাম করলে না জানি কী হয়ে যাবে। ওই ভয়ে নিজেরা প্রোগ্রাম দিয়ে বসে। আওয়ামী লীগের নিজেদের ওপর কোনো আস্থা নেই। সে জন্য তারা এই সব প্রোগ্রাম দেয়।

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের মানুষ এ সরকারকে বলতে চায়- আপনারা (সরকার) জনগণের সঙ্গে প্রতারিত করছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির নাকি গণতন্ত্রের কথা বলার অধিকার নেই। অথচ আওয়ামী লীগই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ছয়শ গুম, এক হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করে। সরকার শুধু চাপাবাজি করে।

    তিনি বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ, সেখানে তারা গণতন্ত্র হত্যাকারী, যেখানে বিএনপি সেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকারী। সরকারকে বিদায় জানাতে হবে। নয়তো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না।

    ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে উত্তর বিএনপি সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম নজরুল সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক  বক্তব্য রাখেন।

    মাহফুজা ২৫-১

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর