২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    জনগণের সেবায় আন্তরিকতার সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় সকলকে কৃচ্ছতা সাধাণ, অপচয় বন্ধ ও মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শাপলা হলে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।

    জেলা প্রশাসকদের জনগণের সেবায় আন্তরিকতার সঙ্গে আত্মনিয়োগ করে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে কৃচ্ছতা সাধন করতে হবে। সেই সঙ্গে অপচয় বন্ধ করে মিতব্যয়ী হতে হবে।

    এসময় ডিসিদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা পরিবর্তন দেখেছি আপনাদের মধ্যে। আমি আসার পর কর্মকর্তাদের মধ্যে জনমুখী মনোভাব এবং মানুষকে সেবার দেওয়ার যে আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়েছে। এটা প্রশংসনীয়। আমরা তো জনপ্রতিনিধি, আমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আসি। আমাদের মেয়াদ ৫ বছর।

    শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের দায়িত্ব অনেক। শুধু চাকরি করা না, জনসেবা দেওয়া। এটা ছিল সংস্থাপন মন্ত্রণালয়। আমি নাম দিই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আপনাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন। দুর্যোগে মানুষের জন্য যে মানুষ, সেটা আপনারা প্রমাণ করেছেন। করোনায় আপনজন পাশে না থাকলেও আপনারা পাশে ছিলেন।

    এ সময় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কোথাও যাতে অনাবাদী জমি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে এবং পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

    তিনি বলেন, সব জমি চাষের উপযোগী কররা বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। উৎপাদিত পণ্য যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। এখন এটাই গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য রপ্তানিও করা যাবে।

    সবক্ষেত্রে সাশ্রয়ী নীতি মেনে চলারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজেরাই নিজেদের বিদুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।

    ‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ৬টি মেট্রোরেল লাইন সমন্বয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বাস র‌্যাপিট ট্রানজিট-এর নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। দ্রুত ও আধুনিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে পাতাল রেল নির্মাণের পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।”

    পল্লী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য দূরীকরণ ও তাদের স্বাবলম্বী করতে সরকারের উদ‌্যোগের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণার ওপর ভিত্তি করে পল্লী এলাকায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামো নির্মাণ, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব আধুনিক নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরের সব সুবিধা প্রদান ও নাগরিক জীবনের মান উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। পল্লী উন্নয়নে সরকারের এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং জেলা ব্র্যান্ডিং-এ আপনাদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

    দক্ষ, আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ভূমি-ব্যবস্থাপনা ও ভূমিসেবা সহজীকরণের জন্য দেশের মোট ৪৮৮টি উপজেলা/সার্কেল এবং ৩,৫৪১টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-মিউটেশন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে বলে এ সময় জানান প্রধানমন্ত্রী।

    ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে শেখ হাসিনা আশাবাদ ব‌্যক্ত করেন বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা এসডিজিসহ আমাদের সব উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ে অর্জন করতে সক্ষম হবো।

    ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে সেই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব।”

    এ সময় ২০৪১ সালে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে তার সরকারের পদক্ষেপ পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

    মাহফুজা ২৪-১

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর