১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    সরকারকে সরাতে কেউ কেউ নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের ওপর ভর করার চেষ্টা করছেন -শিক্ষামন্ত্রী

    কোনো ইস্যু না পেয়ে সরকারকে সরাতে কেউ কেউ নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের ওপর ভর করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন তাদের নিয়ে কেবল করুণা করা যায়। পাঠ্যপুস্তক নিয়ে তারা যা বলছেন তা মিথ্যাচার।

    মন্ত্রী বলেন, পাঠ্যবইয়ে যেসব ভুল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তা সংশোধন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। বাকি বইগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত আছে এবং সবাই মতামত দিন। যেসব মতামত যৌক্তিক হবে সেগুলো গ্রহণ করা হবে।

    সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

    দীপু মনি বলেন, আমি সবার কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত যে শুধু শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ড নয়, দেশের সব মানুষ পাঠ্যবই পড়ছেন। যত গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ রয়েছে আমাদের দিক, আমরা খোলা মনে সব পরামর্শ বিবেচনা করব। যেখানে যৌক্তিক হবে, সেখানে পরিমার্জন, পরিশোধন, পরিশীলন করা হবে। এটি আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি।

    তিনি বলেন, কেউ কেউ বই না পড়ে, না দেখে ‘কেউ একজন বলেছে’ শুনে হিংসা, বিদ্বেষ সহকারে সমালোচনা শুরু করেছেন। তারা চায় এ সরকার না থাকুক। স্মার্ট বাংলাদেশ কী দরকার, তারা চায় পাকিস্তান। এরকম একটি গোষ্ঠী বলছে, নতুন বইয়ে ইসলাম নেই, যা আছে ওটা ইসলাম বিরোধী। আপনার আশপাশে ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ওয়েবসাইটে বই আছে, আপনি দেখে নিন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের এবারের বইগুলো শিক্ষক, অভিভাবক-শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিয়ে করা হয়েছে। আমাদের ভুল হতে পারে। ৩৫ কোটি বই ছাপা হয় এবং এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ।

    গেল বছর বিদ্যুতের সমস্যা ও কাগজের সংকট ছিল। প্রকাশকদের নিয়েও নানা ধরনের সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। যেখানে ভুল থাকবে, যেখানে ধরা পড়বে আমরা সব যৌক্তিক ভুল সংশোধন করব। কিন্তু মিথ্যাচার মেনে নেওয়া হবে না। পশ্চিমবঙ্গের বাতিল করা একটি বইয়ের বর্ণপরিচয় থাকা একটি পৃষ্ঠার সঙ্গে আমার ছবি দিয়ে বলা হচ্ছে যে আমি পৌত্তলিকতা শেখাচ্ছি। সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে জীবনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এটি সামাজিকতা নয়।

    তিনি বলেন, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার সহ্য করা হবে না। যা যৌক্তিক, সঠিক আমরা তা নিশ্চয়ই গ্রহণ করব।

    নবম-দশম শ্রেণির বই নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, এটি ১০ বছর পর ধরা পড়েছে। এটি দেশের একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ সংশোধন করেছেন। তিন দফায় সংশোধন করা হলেও সেই ভুল রয়ে গেছে। সেটি এবার সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে।

    শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে দায়িত্বশীল সংবাদ প্রচার করার আহ্বান জানান ।

    মাহফুজা ২৩-১

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর